স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির নেই কোনো ট্রেড লাইসেন্স, টিন বা ভ্যাট নিবন্ধন, ফায়ার সার্ভিস ও বিএসটিআই অনুমোদন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এমনকি শ্রম আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কোনো নিরাপত্তা সনদও নেই প্রতিষ্ঠানটির।
কারখানাটি সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অত্যন্ত নোংরা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে তৈরি হচ্ছে আইসক্রিম। কাপড়ে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রং, ঘণচিনি, স্যাকারিন, কৃত্রিম ফ্লেভার এবং ভেজাল গুঁড়া দুধ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব পণ্য। ব্যবহৃত হচ্ছে অপরিচ্ছন্ন দুষিত পানি, খালি হাতে মেশানো হচ্ছে উপাদান। শ্রমিকদের নেই গ্লাভস, টুপি কিংবা অ্যাপ্রোনও।
গরমের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ভেজাল আইসক্রিম শিশুদের জন্য হয়ে উঠেছে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এসব আইসক্রিম খেয়ে অনেক শিশু ডায়রিয়া, জ্বর, কাশি, মাথা ও পেট ব্যথাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মুনতাসির মাহমুদ বলেন, “আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। এই কারখানার ব্যাপারে অবগত ছিলাম না, তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, ‘পার্ক’ নামের প্রতিষ্ঠানটির কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই। এটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। দ্রুত অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কারখানার মালিক নোমান দাবি করেন, “আমার কাছে সব ধরনের কাগজপত্র আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশবাদীদের জোর দাবি, এই অবৈধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কারখানার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিবেশ ও নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
এই কারখানার মালিক আগে একটি আইসক্রীম কারখানায় চাকুরী করতেন। গরমের দিনে আইসক্রীমের চাহিদা প্রচুর। এই চাহিদাকে পুঁজি করেই অনুমোদন ছাড়াই আইসক্রীম ফ্যাক্টরী চালু করে দিয়েছে।