ভাইজানরে,
আপনি হইলেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, সামাজিক উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক। গোটা দুনিয়াবাসীর কাছে পরিচিত আছে আপনার। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন। পৃথিবীর আটশত কোটি মানুষের মধ্যে হাতে গুনা কয়েকজন মানুষের মধ্যে আপনিই একজন।
ভাইজানরে,
আপনি ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করিয়াছেন।২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হইয়াছেন।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পাইয়াছেন এমন ৭জন ব্যক্তির মধ্যে যাহারা নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভুষিত আপনিই তাহাদের অন্যতম।
তাহা ছাড়া, ২০১২ সালে আপনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হইয়াছিলেন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এর আগে আপনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। আপনি গ্রামীণ আমেরিকা এবং গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বোর্ড সদস্য, যাহা ক্ষুদ্রঋণকে সহায়তা করিয়া থাকে। ১৯৯৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বও পালন করিয়াছেন আপনি।
২০২৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায় টাইম ম্যাগাজিনে আপনিওঅন্তর্ভুক্ত হইলেন।যাক , এইসব কথা।
ভাইজানরে,
শুনিয়াছি, আপনি দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করিয়াছেন ১৯৭৪ সালে যখন বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময়। ওই সময়ে আপনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করিয়াছেন। ১৯৭৪ সালে আপনার তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন যাহা তৎকালীন সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।প্রকল্পটিকে আরও কার্যকর করিতে আপনার সহযোগীরা ‘গ্রাম সরকার’ কর্মসূচি প্রস্তাব করেন। যাহা ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রবর্তন করেন। এই কর্মসূচির অধীনে সরকার ২০০৩ সালে ৪০,৩৯২টি গ্রাম সরকার গঠিত হয়, যাহা চতুর্থ স্তরের সরকার হিসাবে কাজ করিত।
ভাইজানরে,
গ্রামীন বিশ্ববিদ্যালয় সহ যাহা যাহা এই সরকার আমলে আপনি অনুমোদন নিয়াছেন ও আপনার অনুকুলে কর ও মামলা প্রত্যাহার করিয়াছেন এইসব লইয়া দেশের সাধারণ মানুষেরা কড়া সমালোচনা করিতেছে। অবশ্য সমালোচনাকারীরা অধিকাংশ আওয়ামী লীগেরই লোক । কিন্তু যখন পেঁয়াজ, ডিম, মুরগী ও তরকারীর দাম কমিয়াছে তখন এই সমালোচকেরাই একই রেইটে সওদাপাতি করিয়াছে।তখন কিন্তু আপনার প্রশংসা করেন নাই। তখনই বুঝিয়াছি তাহারা খাইয়া না খাইয়া শুধু শুধুই আপনার বদনাম করিতেছে। আপনার ভক্তের লোকেরা বলিতেছে গরুর গোস্ত ৫শত টাকায় নিয়া আসিতে পারিলে আপনার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হইবে।বিষয়টি একটু ভাবিলেই আপনার দ্বারাই সম্ভব হইবে বলিয়া লোকেরা বিশ্বাস করিতেছে।
আজ আর না।আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনায় ইতি আপনারই গ্রাম বাংলার অখ্যাত ঠান্ডা মিয়া ।গ্রন্থনা ম. আ. হ
আগামী সংখ্যায় আবারও ড. ইউনুস সমীপে ঠান্ডা মিয়ার গরম কথা ( ৩৪৬ খ ) সম্প্রচার করা হইবে।