মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের “জিরো টলারেন্স নীতি” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এরই ধারাবাহিকতায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ হতে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক সমুদ্র উপকূল হতে কোস্ট গার্ডের একক এবং র্যাবের সমন্বয়ে ১২ টি মাদক বিরোধী অভিযানে সর্বমোট ৪৫,৫০,৪৭,০০০ (পঁয়তাল্লিশ কোটি পঞ্চাশ লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার) টাকা মূল্যের ৯,০৬,৪৭০ (নয় লক্ষ ছয় হাজার চারশত সত্তর) পিস ইয়াবা ও ৬০ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত ইয়াবা ও গাঁজার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা ও জিডি করা হয় এবং আলামত হিসেবে ৯৮০ (নয়শত আশি) পিস ইয়াবা ও ১৭৫ গ্রাম গাঁজা থানায় জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজার স্মারক নং ৪৩৬/২৫ (১১) ২ তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২৫ মোতাবেক বিসিজি স্টেশন টেকনাফে রক্ষিত ৯,০৫,৪৯০ (নয় লক্ষ পাঁচ হাজার চারশত নব্বই) পিস ইয়াবা ও ৬০ কেজি ২২৫ গ্রাম গাঁজা ধ্বংসের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
প্রাপ্ত নির্দেশনা মোতাবেক ১৬ মে সকাল ১০ টায় বিসিজি স্টেশন টেকনাফে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার-১, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার-৫ (ইনচার্জ মালখানা) এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোন এর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৯,০৫,৪৯০ (নয় লক্ষ পাঁচ হাজার চারশত নব্বই) পিস ইয়াবা ও ৬০ কেজি ২২৫ গ্রাম গাঁজা ধ্বংস করা হয়। উক্ত কর্মকাণ্ডে যৌথ অভিযানে অংগ্রহণকারী র্যাব এবং পুলিশের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এবং মাদক পাচার রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মাদক পাচার রোধ অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। মাদক পাচার রোধকল্পে কোস্ট গার্ডের এরূপ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।