হালিশহর প্রতিনিধি
নগরীর হালিশহর থানার ডগির খাল এলাকায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে প্রায় ৪ কোটি ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ হলেও বাস্তব চিত্র বলছে চোরাচালান সিন্ডিকেট এখনো রয়ে গেছে।
শনিবার (৩ মে) ভোর ৫টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম বেইস-এর সদস্যরা সফলভাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মদ ও বিয়ার জব্দ করে। অভিযানটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় হলেও প্রশ্ন উঠেছে এই একক অভিযান কি যথেষ্ট ?
চোরাকারবারিরা ধরা পড়লেও মূল হোতারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সরেজমিনে ডগির খাল এলাকায় গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন জেলের সাথে কথা বললে তারা জানান প্রতি সপ্তাহেই একাধিকবার এই একই পথ ধরে মাদক, লোহা-লক্কর ও অন্যান্য অবৈধ পণ্য পাচার করা হয়। তাদের ভাষ্যমতে, এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে একটি প্রভাবশালী চক্র জড়িত, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচ্ছে। এসব চোরাকারবারীরা আনোয়ারা, টেকনাফ, বাঁশখালী ও মহেষখালী এলাকার অধিবাসী । এই থানা এলাকার বড়পুল ও হালিশহরের বিভিন্ন ব্লকে তারা ভাড়া অথবা কেনা বাসায় থাকে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার হালিশহর থানাকে অবগত করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। থানার ভূমিকা বরাবরের মতো নীরব ও নিষ্ক্রিয় ছিল যা এ চক্রের আসকারা দেওয়ার সমতুল্য।
উঠছে গুরুতর প্রশ্ন ,যেখানে কোটি কোটি টাকার চোরাচালান হচ্ছে, সেখানে মূল হোতারা এতদিন কীভাবে অধরাই থেকে যাচ্ছে? কে বা কারা তাদের পেছনে ছায়া হয়ে আছে, পুলিশের নীরবতা কি শুধুই দায়িত্বহীনতা নাকি এর পেছনে রয়েছে বড় ধরনের মদদ।
এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলে না। তবে অনুসন্ধান চলছে এবং অচিরেই এই চক্রের মূল হোতাদের পরিচয় ও বিস্তারিত চিত্র পত্রিকার পাতায় প্রকাশ পাবে।
চোরাচালান বন্ধে একক অভিযান নয়, চাই সমন্বিত ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পদক্ষেপ তবেই থামবে এই ভয়াবহ মাদক বাণিজ্য।