অভি চক্রবর্তী ও লোকমান হাকিম
চট্টগ্রামের পটিয়ায় অবৈধ অনুমোদনহীন সাবান ও ওয়াশিং পাউডার তৈয়ারীর কারখানার সন্ধান মেলেছে। ওই কারখানাটি পটিয়ার প্যাচারিয়া বাজারে পটিয়া- চট্টগ্রাম মহাসড়কেই অবস্থিত।’নূর সাবান ইন্ডাস্ট্রি’ নামে এই কারখানায় অবৈধ সাবান ও ওয়াশিং পাউডার তৈয়ারি হয়। নোংরা পরিবেশ ও বিষাক্ত ক্যামিকেল ব্যবহার করে দিন রাত উৎপাদন হয় এসব ভেজাল পণ্য।
মানবদেহের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর সাবান ও ওয়াশিং পাউডার নির্বিঘ্নে চললেও ফ্যাসিবাদের দোসর মালিক হওয়ায় কেউ বাধা তো দূরের কথা মুখও খুলেনি।। সরেজমিন পরিদর্শনকালে পরিবেশ, ফায়ার সার্ভিস, বিএসটিআই, ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাঁট চালান কিছু দেখাতে পারেনি । কম খরছে অধিক লাভের আশায়, অনুমোদনবিহীন সাবান ও ওয়াশিং পাউডার প্যাকেট জাত করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে ফ্যাক্টরির মালিক মো: রেজাউল করিম। যদিও তিনি মুঠোফোনে নিজেকে মালিক নয় বলে দাবী করে।
সরেজমিনে কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায় বর্জ্য পদার্থ ও মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর ক্যামিকেল ও রং দিয়ে ফ্যাক্টরির কর্মীরা এখানে সাবান ও য়াশিং পাউডার তৈরি ও প্যাকেটজাত করে চলছে। অধিকাংশ শিশুরাই এই কারখানার কর্মী ও জনবল। এই সাবান ব্যবহার করলে চর্ম রোগসহ চামড়াজনিত নানান রোগ হতে পারে বলে এক অভিজ্ঞ চর্ম চিকিৎসক জানান।
খবর নিয়ে জানা যায় নূর সাবান ফ্যাক্টরির আড়ালে কোন ট্রেড মার্ক ছাড়াই উন্নত ব্যান্ডের প্যাকেটে প্রতিদিন সরবরাহ করা হয়। জানা গেছে, নোংরা পানি, বিষাক্ত ক্যামিকেল ও হরেক রকম রং ব্যবহার করা হয় এই ফ্যাক্টরিতে। বড় বড় নামকরা কোম্পানীর মোড়ক তারা ব্যবহার করে। ফলে প্রকৃত ক্রেতারা দিন দিন ঠকলেও লাভবান হচ্ছে নূর সাবান ফ্যাক্টরির মালিকপক্ষ।
অনুসন্ধানে জানা যায় ঘাটে, ঘাটে উপরে নীচে সবাইকে ম্যানেজ করেই এই কারখানা দীর্ঘ ১৭ বছর চলে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়। ফ্যাক্টরির মালিক আওয়ামী লীগের নেতা বলে ১৭ বছর কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস করেনি। ৫ আগস্টে লীগ সরকারের পতনের পরই মালিক মো: রেজাউল করিম আত্মগোপনে চলে যান।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে কারখানার কর্মীরা বলে আমরা মাসিক বেতনে চাকুরী করি আমরা কিছুই জানিনা আপনারা মালিকের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে কারখানার মালিক রেজাউল করিমের ব্যবহৃত মুঠো ফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি চট্টগ্রামের বাইরে আছেন, আসলে দেখা হবে বলেন। পরে বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যারা অনুমোদন দিয়েছে তারা বলেছে সাংবাদিকদের কোন তথ্য দেবার কিংবা কাগজপত্র দেখানোর দরকার নেই ।